অনেক মুসলিম ভাই-বোনেরা নামাজ আাদায় করেন কিন্তু নামাজের হক আদায় করেন না।
বরং নামাজ এত দ্রুত এবং অমনোযোগী হয়ে আদায় করপন যা খুবই দৃস্টি কটু। অথচ আল্লাহ তায়ালা কোরআনে নামাজ খুশু খুজুর সাথে আাদায় করতে বলেছেন এবং রাসুল (স) বলেছেন, সেই সবচেয়ে বড় চোর যে নামাজে চুরি করে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে নামাযে খুশু-খুযু অবলম্বন করা যায়।নামাযে খুশু-খুযু অবলম্বনের জন্য সহায়ক বিষয়সমূহ:
১। নামায শুরু করার পূর্বে দুনিয়াবি কাজ-কর্ম সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করে নামাযে মনোযোগ দেওয়া।
২। মনে এই অনুভূতি থাকা যে, সে মহীয়ান গরীয়ান সত্ত্বার সামনে দাঁড়াচ্ছে।
৩। নামাযের পরিপূর্ণ সওয়াব হাসিলের ইচ্ছা থাকা।
৪। ভালভাবে ওযু করা, কোন অংশ না ছাড়া এবং পানি অপচয় না করা।
৫। নামায শুরু করার পূর্বে প্রস্তুতি নেওয়া। (খাবার-দাবার, পেশাব- পায়খানা সেরে নেওয়া এবং নামাযের জন্য কোলাহল মুক্ত স্থান চয়ন করা।)
৬। জামাআতে নামায পড়া থেকে অবহেলা না করা।
৭। নফল নামায বিশেষ করে বিতর ও ফজরের সুন্নত না ছাড়া।
৮। নামাযে পঠিতব্য আয়াত, দুআ ও যিকরের অর্থ স্মরণ করা ও বুঝার চেষ্টা করা।
৯। নামাযে তাড়াহুড়া না করা। এমন না করা যে, নামাযই যেন আপনার নিকট সবচেয়ে অবহেলার বিষয় কোনোরূপে আদায় করলেই হল!
১০। নামাযের আদব রক্ষা করা আর তা হচ্ছে অনর্থক নড়াচড়া সহ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় কাজ না করা।
১১। নামাযের নিয়ম সমূহ পালন করা এবং নিজের দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখা আর তাশাহুদের সময় তর্জনী আঙ্গুলের দিকে।
১২। সুতরা করার স্থান হলে সুতরা করে নেওয়া।
১৩। দুনিয়াবি কাজকর্ম ও ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়া এবং এমন ভাবা যে, সে সবের মূল্য আল্লাহর নিকট মশার ডানার মতও না।
১৪। এমন স্থানে নামায পড়া থেকে বিরত থাকা যেখানে বাদ্যযন্ত্র, ছবি, শব্দ ও চেঁচামেচি হয়।
১৫। এই অনুভূতি অন্তরে থাকা যে, হতে পারে এটি আমার শেষ নামায। (শায়খ আব্দুর রাকীব বোখারী)
0 comments: